fbpx
চার মাযহাব উম্মাহর বিভক্তি নয়, বরং নবী সা. এর বৈচিত্রময় আমলের প্রতিনিধি;
চার মাযহাব উম্মাহর বিভক্তি নয়, বরং নবী সা. এর বৈচিত্রময় আমলের প্রতিনিধি;

চার মাযহাব উম্মাহর বিভক্তি নয়, বরং নবী সা. এর বৈচিত্রময় আমলের প্রতিনিধি;

তিনটি সূত্র;

  • ১. নবী সা. নিজেই অনেক সুন্নত-মুস্তাহাব আমলের একটিকে কয়েক রকমে করেছেন, যেমন ধরুন: নামাযে হাত বাধার সুন্নত আমল বা আমিন বলার সুন্নত আমল বা ইকামত বলার সুন্নত আমল বা ঈদের অতিরিক্ত তাকবির বলার সুন্নত আমল,বা রফয়ে ইয়াদাইনের সুন্নত আমল ইত্যাদি ৷ এসব সুন্নত আমল নবী সা. নিজেই কয়েকভাবে করেছেন, এখন একেক মাযহাব একেকটা আমল করে, এভাবে চার মাযহাবের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নবী সা. এর সব রকমের আমল জিন্দা আছে ৷
  • ২. অনেক আয়াত বা হাদিস একাধিক অর্থের সম্ভাবনা রাখে, আবার এমন ক্ষেত্রে আল্লাহ ও তার রাসুলের পক্ষ হতে কোন একটি অর্থকে সুনির্দিষ্টও করে দেয়া হয়নি, তখন মুজতাহিদগণের মতভেদ হয়ে যায়, এবং একেক মুজতাহিদ একেক অর্থ গ্রহণ করেন, যার প্রতিটি অর্থ ও ব্যাখ্যার পিছনে রয়েছে কুরআন-হাদিসের অন্য কোন আয়াত বা হাদিস বা উসুলুশ শরিয়া ৷
    মুলত আল্লাহ এভাবে মুজতাহিদগণের মাধ্যমে ঐ আয়াত বা হাদিসের তাঁর চাওয়া মত সম্ভাবনাময় সব অর্থের আমল বাস্তবায়ন ঘটান ৷
    ইমাম সুয়ুতির ভাষায় বলতে হয়, ইহাতে রয়েছে অনেক রহস্য-ভেদ, যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানেনা ৷
  • ৩. সুদ-জেনা-চুরি-খুন-মদের আয়াত-হাদিসে আল্লাহ ও নবী সা. যেভাবে স্পষ্ট- একক অর্থবোধক- অকাট্য অর্থে রাখলেন, একাধিক অর্থের সম্ভাবনা রাখেননি, যার দরুন এসব বিষয়ে উলামা-মুজতাহিদগণের মাঝে কোন মতভেদ তৈরি হয়নি,সকলে একমত ৷
    তেমনিভাবে পূর্বের দুই ধরনের সব আয়াত-হাদিসকেও কেন স্পষ্ট- একক অর্থবোধক -অকাট্য অর্থে রাখলেন না? কেন একাধিক অর্থের সম্ভাবনাময় করে রাখলেন? যার কারণে মুজতাহিদগণ ভিন্ন- ভিন্ন একাধিক ফুল হয়ে ফুটেছেন।মতভেদ হয়েছে ৷
    এই রহস্যজগত একমাত্র তিনিই ভাল জানেন।

সূত্রের ভিত্তিতে প্রাপ্ত নতিজা-ফলাফল;

  • চার মাযহাবসহ দুইশত হিজরীর পূর্বের শতশত মাযহাব কর্তৃক ইসলামী আইনের শাখা বিষয়ের ব্যাখ্যয় মতভিন্নতা হল; এক বাগানে শতফুলের একসাথে থাকার মত।
  • ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ. আর ইমাম সুয়ুতি রহ. এর ভাষায় হল, “ইসলামের শাখা বিষয়ে মুজতাহিদ উলামাগণের ব্যাখ্যার মতভিন্নতা পুর্বের নবীগণের শরিয়তের মতভিন্নতার মত।
    যেমন অনেক অংক দশ নিয়মে ব্যাখ্যা দেয়া যায় ৷এটা বৈচিত্র, বিভক্তি নয়।
  • আবার যেমন কুরআনের দশ রকম কিরাত, এক কিরাতের সাথে অন্য কিরাতের বাহ্যিক শব্দ উচ্চরণে মিল নেই,কিন্ত মুলে সকল ক্বারীর কুরআন একটাই , বাহ্যিক শব্দ উচ্চারণের এই অমিল বিভক্তি নয় বরং বৈচিত্র, এক বাগানে দশ রকম ফুলের মত।
  • এই উদাহরণটিও ইমাম ইবনে তাইমিয়া রহ.প্রদান করেছেন, চার মাযহাবের পারস্পারিক মৌলিক ঐক্য আর যৌগিক বৈচিত্রময়ের সম্পর্ক বুঝাতে।
  • চার মাযহাবের শাখা মাসায়েলের বিষয়টি এমনই বৈচিত্রময়, এটি বিভক্তি নয়, এ জন্যই তো চার মাযহাবের মুল আকিদা -অকাট্য মাসয়ালায এক।

এখানে মন্তব্য করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

লেখক পরিচিতি

নামঃ নাজমুল হুদা নুমানী
মক্তব-নাহবেমীরঃ ১৯৯৬ – ২০০০ শিক্ষাবর্ষ, দারুল উলুম আলিমপুর, সিরাজগঞ্জ।
হেদায়াতুন্নাহুঃ ২০০১ শিক্ষাবর্ষ, যাত্রাবাড়ী মাদরাসা।
কাফিয়া-দাওরাঃ ২০০২-২০০৬ শিক্ষাবর্ষ, লালবাগ মাদরাসা।
উচ্চতর আরবী সাহিত্যঃ ২০০৬-২০০৮ শিক্ষাবর্ষ , দারুল মারিফ, চট্টগ্রাম।
উচ্চতর ইসলামী আইন গবেষণাঃ (মুফতী) ২০০৮-২০১০ শিক্ষাবর্ষ, যাত্রাবাড়ী মাদরাসা।
উচ্চতর হাদীস গবেষণাঃ (মুহাদ্দিস) ২০১০-২০১২ শিক্ষাবর্ষ, বসুন্ধরা মাদরাসা।
সংক্ষিপ্ত তাফসিরঃ ২০০৪ রমজান মাস, খাদিমুল ইসলাম, মিরপুর-১৩, মুফতী ইমরান মাযহারি দা বা নিকট।
অনার্সঃ এশিয়ান ভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ। (চলমান)
কর্ম জীবনঃ ২০১২ শিক্ষাবর্ষ হতে অধ্যাবদি পর্যন্ত আল্লাহর রহমতে দারুল ইফতার প্রধান মুফতির দায়িত্ব পালন;
এক. জামিয়ুল উলুম ইসলামিয়া, নিকড়া, দোহার, ঢাকা। (খন্ডকালিন প্রথম তিন মাস ইফতার প্রধান মুশরিফ)
দুই. মারকাযু হুজ্জাতিল ইসলাম, মাতুয়াইল, ঢাকা। (ইফতার প্রধান মুশরিফ) : ২০১২ এবং ২০১৩ শিক্ষাবর্ষ।
তিন. মারকাযুল কুরআন বাংলাদেশ, মৌচাক, নারায়ণগন্জ। ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ শিক্ষাবর্ষ, দারুল ইফতার প্রধান মুফতীর দায়িত্ব পালন।
চার. জামিয়া মাহমুদিয়া, মৌচাক, নারায়ণগন্জ, এক বছর ইফতার প্রধান মুফতীর দায়িত্ব পালন এবং শায়খুল হাদিস, জামিয়া মাহমুদিয়া, মৌচাক।
পাঁচ. মারকাযুল ফিকহ আল ইসলামী বাংলাদেশ, মৌচাক, নারায়ণগঞ্জ, ৩ বছর চলমান,  আল্লাহর রহমতে প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল ও প্রধান মুফতী।
খলিফাঃ শাইখুল ইসলাম শাহ্ আহমাদ শফী দাঃ বাঃ
আমাদের অনুসরণ করুন

সর্বশেষ ইউটিউব ভিডিও

Play Video

সাম্প্রতিক পোস্ট

সাম্প্রতিক পৃষ্ঠা