fbpx

মুসলিম

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

বিষয়ঃ মুসলিম
(নির্বাচিত গুরুত্বপূর্ণ আয়াত-এর তরজমা ও তাফসীর)

আয়াতে কারীমাহ্

رَبَّنَا وَاجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِنْ ذُرِّيَّتِنَا أُمَّةً مُسْلِمَةً لَكَ وَأَرِنَا مَنَاسِكَنَا وَتُبْ عَلَيْنَا إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ (128

[البقرة: 128]

সরল অনুবাদ

হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের উভয়কে তোমার একান্ত অনুগত কর এবং আমাদের বংশধর হতে তোমার অনুগত একটি উম্মত (সম্প্রদায়) সৃষ্টি কর। আমাদের (হজ্জ) উপাসনার নিয়ম পদ্ধতি দেখিয়ে দাও এবং আমাদেরকে ক্ষমা কর। তুমি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

সূরার নাম ঃ আল বাকারা
অবর্তীণ ঃ মদীনায়
আয়াত নম্বরঃ ১২৮

আয়াতে কারীমাহ্

وَوَصَّى بِهَا إِبْرَاهِيمُ بَنِيهِ وَيَعْقُوبُ يَابَنِيَّ إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى لَكُمُ الدِّينَ فَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ (132

[البقرة: 132]

সরল অনুবাদ

ইব্রাহীম ও ইয়াকুব এ সম্বন্ধে তাদের পুত্রগণকে নির্দেশ দিয়েছিল, ‘হে পুত্রগণ! আল্লাহ তোমাদের জন্য দ্বীনকে (ইসলাম ধর্মকে) মনোনীত করেছেন। সুতরাং আত্মসমর্পণকারী (মুসলিম) না হয়ে তোমরা অবশ্যই মৃত্যুবরণ করো না।’ [১]

সূরার নাম ঃ আল বাকারা
অবর্তীণ ঃ মদীনায়
আয়াত নম্বরঃ ১৩২

সংক্ষিপ্ত তাফসীর

[১] ইবরাহীম ও ইয়াকুব (আলাইহিমাস্ সালাম) স্বীয় সন্তানদেরকে যে দ্বীনের অসীয়ত করেছেন, তা হল ইসলাম, ইয়াহুদীধর্ম নয়। আর এই কথাটা এখানে যেরূপ পরিষ্কার করে বলে দেওয়া হয়েছে, অনুরূপ কুরআন কারীমের অন্যান্য স্থানেও তার আলোচনা আসবে। যেমন, {إِنَّ الدِّينَ عِنْدَ اللَّهِ الْأِسْلامُ} “নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট দ্বীন একমাত্র ইসলাম।”

আয়াতে কারীমাহ্

مَا كَانَ إِبْرَاهِيمُ يَهُودِيًّا وَلَا نَصْرَانِيًّا وَلَكِنْ كَانَ حَنِيفًا مُسْلِمًا وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ (67

[آل عمران: 67]

সরল অনুবাদ

ইবরাহীম না ইয়াহূদী ছিল, না নাসারা, বরং একনিষ্ঠ আত্মসমর্পণকারী (মুসলিম)।[১] এবং সে মুশরিক দলের অন্তর্ভুক্ত ছিল না।

সূরার নাম ঃ  আল ইমরান
অবর্তীণ ঃ মদীনায়
আয়াত নম্বরঃ ৬৭

সংক্ষিপ্ত তাফসীর

[১] [حَنِيْفًا مُّسْلِمًا] (একনিষ্ঠ মুসলিম) অর্থাৎ, শিরক থেকে বিমুখ হয়ে কেবল এক আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণকারী।

আয়াতে কারীমাহ্

قُلْ آمَنَّا بِاللَّهِ وَمَا أُنْزِلَ عَلَيْنَا وَمَا أُنْزِلَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ وَيَعْقُوبَ وَالْأَسْبَاطِ وَمَا أُوتِيَ مُوسَى وَعِيسَى وَالنَّبِيُّونَ مِنْ رَبِّهِمْ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِنْهُمْ وَنَحْنُ لَهُ مُسْلِمُونَ (84

[آل عمران: 84]

সরল অনুবাদ

বল, ‘আমরা আল্লাহর উপর এবং আমাদের প্রতি ও ইবরাহীম, ইসমাঈল, ইসহাক, ইয়াকুব এবং তাঁর বংশধরের প্রতি যা কিছু অবতীর্ণ হয়েছে এবং মূসা, ঈসা ও অন্যান্য নাবীগণকে তাঁদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে যা কিছু দেয়া হয়েছে তার উপর ঈমান এনেছি;[১]  আমরা তাঁদের মধ্যে কোন পার্থক্য করি না এবং আমরা তাঁরই কাছে আত্মসমর্পিত।’

সূরার নাম ঃ আল ইমরান
অবর্তীণ ঃ মদীনায়
আয়াত নম্বরঃ ৮৪

সংক্ষিপ্ত তাফসীর

[১] অর্থাৎ, প্রত্যেক সত্য নবীদের প্রতি এই বিশ্বাস রাখতে হবে যে, তাঁরা সব সব সময়ে আল্লাহর পক্ষ হতে প্রেরিত ছিলেন। অনুরূপ তাঁদের উপর যে কিতাব ও সহীফা নাযিল হয়েছিল, তা সবই আসমানী কিতাব এবং বাস্তবিকই তা আল্লাহ কর্তৃক অবতীর্ণ। আর এ কথাও বিশ্বাস করতে হবে যে, সমূহ আসমানী কিতাবের মধ্যে কুরআন কারীম হল সর্বোত্তম কিতাব। এখন কেবল এই কিতাবের উপরই আমল হবে। কারণ, কুরআন পূর্বের সমস্ত কিতাবকে রহিত করে দিয়েছে।