হাশর

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

বিষয়ঃ হাশর
(নির্বাচিত গুরুত্বপূর্ণ আয়াত-এর তরজমা ও তাফসীর)

আয়াতে কারীমাহ্

رَبَّنَا إِنَّكَ جَامِعُ النَّاسِ لِيَوْمٍ لَا رَيْبَ فِيهِ إِنَّ اللَّهَ لَا يُخْلِفُ الْمِيعَادَ (9

[آل عمران: 9]

সরল অনুবাদ

হে আমাদের প্রতিপালক! নিশ্চয়ই তুমি সমুদয় মানুষকে একদিন সমবেত করবে, যাতে কোনও সন্দেহ নাই। নিশ্চয়ই আল্লাহ অঙ্গীকারের খেলাফ করেন না।

সূরার নাম ঃ আল ইমরান
অবর্তীণ ঃ মদীনায়
আয়াত নম্বরঃ ০৯

আয়াতে কারীমাহ্

وَيَوْمَ نَحْشُرُهُمْ جَمِيعًا ثُمَّ نَقُولُ لِلَّذِينَ أَشْرَكُوا أَيْنَ شُرَكَاؤُكُمُ الَّذِينَ كُنْتُمْ تَزْعُمُونَ (22

[الأنعام: 22]

সরল অনুবাদ

স্মরণ করে সে দিনকে, যে দিন আমি তাদের সবাইকে একত্রিত করব আর যারা শিরক করেছিল তাদেরকে বলব- যাদেরকে তোমরা আমার শরীক মনে করতে তারা কোথায়?

সূরার নাম ঃ আল আনআম
অবর্তীণ ঃ মক্কায়
আয়াত নম্বরঃ ২২

আয়াতে কারীমাহ্

وَيَوْمَ نُسَيِّرُ الْجِبَالَ وَتَرَى الْأَرْضَ بَارِزَةً وَحَشَرْنَاهُمْ فَلَمْ نُغَادِرْ مِنْهُمْ أَحَدًا (47

[الكهف: 47]

সরল অনুবাদ

(স্মরণ কর,) যেদিন আমি পর্বতকে করব সঞ্চালিত[১] এবং তুমি পৃথিবীকে দেখবে একটি শূন্য প্রান্তর; সেদিন মানুষকে আমি একত্রিত করব এবং তাদের কাউকেও অব্যাহতি দেব না। [২]

সূরার নাম ঃ আল কাহাফ
অবর্তীণ ঃ মক্কায়
আয়াত নম্বরঃ ৪৭

সংক্ষিপ্ত তাফসীর

 [১] এখানে কিয়ামতের ভয়াবহতা এবং তার বড় বড় ঘটনাবলী বর্ণিত হয়েছে। পর্বতকে সঞ্চালিত করার অর্থ, পাহাড় তার স্থান থেকে সরে যাবে এবং তা ধূনিত পশমের মত উড়তে থাকবে।
وَتَكُونُ الْجِبَالُ كَالْعِهْنِ الْمَنْفُوشِ
“এবং পাহাড়গুলো ধূনিত রঙিন পশমের মত হয়ে যাবে।”
(সূরা ক্বারেআহ ১০১:৫ আয়াত) আরো দেখুন, সূরা তূরের ৫২:৯-১০, সূরা নাম্লের ২৭:৮৮ এবং সূরা ত্বহা র ২০:১০৫-১০৭ নং আয়াতগুলো।
যমীন থেকে এই শক্তিশালী পাহাড়গুলো যখন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে, তখন ঘর-বাড়ী, গাছপালা এবং এই ধরনের অন্যান্য জিনিসগুলো কিভাবে সব সব অস্তিত্ব প্রতিষ্ঠিত থাকতে পারে? এই জন্যই পরে বলা হয়েছে, “তুমি যমীনকে দেখবে একটি শূন্য প্রান্তর।”
[২] অর্থাৎ, পূর্বের ও পরের, ছোট ও বড় এবং কাফের ও মু’মিন সকলকেই একত্রিত করব। কেউ যমীনের তলায় পড়ে থাকবে না এবং কবর থেকে বেরিয়ে কোথাও লুকাতে পারবে না।