বিচার
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
বিষয়ঃ বিচার
(নির্বাচিত গুরুত্বপূর্ণ আয়াত-এর তরজমা ও তাফসীর)
আয়াতে কারীমাহ্
الْمُلْكُ يَوْمَئِذٍ لِلَّهِ يَحْكُمُ بَيْنَهُمْ فَالَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ فِي جَنَّاتِ النَّعِيمِ (56
[الحج: 56]
সরল অনুবাদ
ক্ষমতা-আধিপত্য সেদিন হবে আল্লাহরই, তিনি তাদের মাঝে বিচার-ফয়সালা করবেন। অতঃপর যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে তারা থাকবে নি‘মাতরাজিতে পরিপূর্ণ জান্নাতে।
সূরার নাম ঃ আল হাজ্জ্ব
অবর্তীণ ঃ মদীনায়
আয়াত নম্বরঃ ৫৬
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
অর্থাৎ, পৃথিবীতে সাময়িকভাবে পুরস্কার স্বরূপ অথবা পরীক্ষা স্বরূপ মানুষ রাজত্ব আধিপত্য ও ক্ষমতা লাভ করে থাকে। কিন্তু পরকালে কারো কোন প্রকার ক্ষমতা থাকবে না। ক্ষমতা ও রাজত্ব একমাত্র আল্লাহরই থাকবে। কর্তৃত্ব ও আধিপত্য একমাত্র তাঁরই হবে।
{الْمُلْكُ يَوْمَئِذٍ الْحَقُّ لِلرَّحْمَنِ وَكَانَ يَوْمًا عَلَى الْكَافِرِينَ عَسِيرًا}
অর্থাৎ, সেদিন প্রকৃত কর্তৃত্ব হবে পরম দয়াময়ের এবং অবিশ্বাসীদের জন্য সেদিন হবে বড় কঠিন।
(সূরা ফুরকান ২৫:২৬)
{لِمَنِ الْمُلْكُ الْيَوْمَ لِلَّهِ الْوَاحِدِ الْقَهَّارِ}
অর্থাৎ, আজ কর্তৃত্ব কার? এক পরাক্রমশালী আল্লাহরই।
(সূরা মু’মিন ৪০:১৬)
আয়াতে কারীমাহ্
وَأَنِ احْكُمْ بَيْنَهُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَاءَهُمْ وَاحْذَرْهُمْ أَنْ يَفْتِنُوكَ عَنْ بَعْضِ مَا أَنْزَلَ اللَّهُ إِلَيْكَ فَإِنْ تَوَلَّوْا فَاعْلَمْ أَنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ أَنْ يُصِيبَهُمْ بِبَعْضِ ذُنُوبِهِمْ وَإِنَّ كَثِيرًا مِنَ النَّاسِ لَفَاسِقُونَ (49
[المائدة: 49]
সরল অনুবাদ
এবং (পুনঃ বলছি) আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তুমি তদনুযায়ী তাদের মধ্যে বিচার-নিষ্পত্তি কর এবং তাদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করো না। আর এ সম্বন্ধে সতর্ক থাক, যাতে আল্লাহ যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ করেছেন, ওরা তার কিছু থেকে তোমাকে বিচ্যুত করতে না পারে। যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে জেনে রাখ যে, তাদের কোন কোন পাপের জন্য আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দিতে চান এবং মানুষের মধ্যে অনেকেই তো সত্যত্যাগী।
সূরার নাম ঃ আল মায়িদাহ
অবর্তীণ ঃ মদীনায়
আয়াত নম্বরঃ ৪৯
আয়াতে কারীমাহ্
قُلْ أَمَرَ رَبِّي بِالْقِسْطِ وَأَقِيمُوا وُجُوهَكُمْ عِنْدَ كُلِّ مَسْجِدٍ وَادْعُوهُ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ كَمَا بَدَأَكُمْ تَعُودُونَ (29
[الأعراف: 29]
সরল অনুবাদ
বল, ‘আমার প্রতিপালক ন্যায়পরায়ণতার নির্দেশ দিয়েছেন’,[১] আর প্রত্যেক সলাতে তোমাদের লক্ষ্য ও মনোযোগকে (তাঁর প্রতি) নিবদ্ধ কর,[২] তাঁর আনুগত্যে বিশুদ্ধ-চিত্ত হয়ে তাঁকে ডাক। যেভাবে তোমাদেরকে প্রথমে সৃষ্টি করা হয়েছে (তোমাদের মৃত্যুর পর আবার জীবিত হয়ে) সেভাবেই তোমরা ফিরে আসবে।
সূরার নাম ঃ আল আরাফ
অবর্তীণ ঃ মক্কায়
আয়াত নম্বরঃ ২৯
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
আয়াতে কারীমাহ্
إِنَّ اللَّهَ يَأْمُرُكُمْ أَنْ تُؤَدُّوا الْأَمَانَاتِ إِلَى أَهْلِهَا وَإِذَا حَكَمْتُمْ بَيْنَ النَّاسِ أَنْ تَحْكُمُوا بِالْعَدْلِ إِنَّ اللَّهَ نِعِمَّا يَعِظُكُمْ بِهِ إِنَّ اللَّهَ كَانَ سَمِيعًا بَصِيرًا (58
[النساء: 58]
সরল অনুবাদ
নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেন, হকদারদের হক তাদের কাছে পৌঁছে দিতে।[১] তোমরা যখন মানুষের মাঝে বিচার করবে তখন ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে বিচার করবে।[২] আল্লাহ তোমাদেরকে কত উত্তম উপদেশই না দিচ্ছেন;[৩] নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু শোনেন, সবকিছু দেখেন।
সূরার নাম ঃ আন নিসা
অবর্তীণ ঃ মদীনায়
আয়াত নম্বরঃ ৫৮
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
(ইবনে মাজা)