fbpx

জাহান্নাম

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

বিষয়ঃ জাহান্নাম
(নির্বাচিত গুরুত্বপূর্ণ আয়াত-এর তরজমা ও তাফসীর)

আয়াতে কারীমাহ্

وَالَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِآيَاتِنَا أُولَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ (39

[البقرة: 39]

সরল অনুবাদ

আর যারা কুফরী করবে ও আমার নিদর্শনগুলোকে অস্বীকার করবে। তারাই জাহান্নামী; সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।

সূরার নাম ঃ আল বাকারা
অবর্তীণ ঃ মদীনায়
আয়াত নম্বরঃ ৩৯

সংক্ষিপ্ত তাফসীর

দুআ কবুল করা সত্ত্বেও মহান আল্লাহ তাঁদেরকে পুনরায় জান্নাতে আবাদ না করে দুনিয়াতে থেকেই জান্নাত লাভের চেষ্টা করতে বলেন। আর আদম (আঃ)-এর মাধ্যমে সকল আদম-সন্তানকে জান্নাত লাভের পথ বলে দেওয়া হচ্ছে যে, আম্বিয়া (আলাইহিমুস্ সালাম)-এর মাধ্যমে আমার হিদায়াত (জীবন পরিচালনার বিধি-বিধান) তোমাদের নিকট আসবে। সুতরাং যে তা গ্রহণ করবে, সে জান্নাতের অধিকারী হবে। আর যে তা গ্রহণ করবে না, সে আল্লাহর শাস্তির যোগ্য হবে।’তাদের কোন ভয় নেই’ -এর সম্পর্ক আখেরাতের সাথে।
অর্থাৎ, আখেরাত সংক্রান্ত যে বিষয়ই তাদের সামনে আসবে, তাতে তাদের কোন ভয় থাকবে না। আর ‘তারা দুঃখিত হবে না’-এর সম্পর্ক দুনিয়ার সাথে। অর্থাৎ, দুনিয়া সংক্রান্ত যা কিছু তাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে, সে ব্যাপারে তারা দুঃখিত হবে না। যেমন অন্যত্র বলা হয়েছে,
{فَمَنِ اتَّبَعَ هُدَايَ فَلا يَضِلُّ وَلا يَشْقَى} (طـه: (১২৩)
“যে আমার বর্ণিত পথ অনুসরণ করবে, সে (দুনিয়াতে) পথভ্রষ্ট হবে না এবং (আখেরাতে) দুঃখ-কষ্টও পাবে না।” (ইবনে কাসীর) অর্থাৎ,
{لاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُوْنَ}
এই মর্যাদা সকল সত্যবাদী মু’মিন লাভ করবে। এটা কোন এমন মর্যাদা নয় যে, কেবল আল্লাহর অলীরাই তা পাবে। অনুরূপ এই ‘মর্যাদা’র তাৎপর্যও অন্য কিছু নয়, বরং প্রত্যেক মু’মিন ও আল্লাহভীরুই আল্লাহর অলী। ‘আল্লাহর আউলিয়া’ কোন ভিন্ন সৃষ্টি নয়। তবে হ্যাঁ, অলীদের মর্যাদা ও দর্জায় তফাৎ থাকতে পারে।

আয়াতে কারীমাহ্

وَإِذَا قِيلَ لَهُ اتَّقِ اللَّهَ أَخَذَتْهُ الْعِزَّةُ بِالْإِثْمِ فَحَسْبُهُ جَهَنَّمُ وَلَبِئْسَ الْمِهَادُ (206

[البقرة: 206]

সরল অনুবাদ

আর যখন তাকে বলা হয়, তুমি আল্লাহকে ভয় কর, তখন তার আত্মাভিমান তাকে অধিকতর পাপাচারে লিপ্ত করে।[১] সুতরাং তার জন্য জাহান্নামই যথেষ্ট এবং নিশ্চয়ই তা অতি মন্দ শয়নাগার।

সূরার নাম ঃ আল বাকারা
অবর্তীণ ঃ মদীনায়
আয়াত নম্বরঃ ২০৬

সংক্ষিপ্ত তাফসীর

[১] {أَخَذَتْهُ الْعِزَّةُ بِالْأِثْمِ} “তার আত্মাভিমান তাকে অধিকতর পাপাচারে লিপ্ত করে।” এখানে عِزَّة এর অর্থঃ গর্ব-অহঙ্কার, আত্মাভিমান।

আয়াতে কারীমাহ্

إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ بِالْحَقِّ بَشِيرًا وَنَذِيرًا وَلَا تُسْأَلُ عَنْ أَصْحَابِ الْجَحِيمِ (119

[البقرة: 119]

সরল অনুবাদ

আমি তোমাকে সত্য দ্বীনসহ সুসংবাদদাতা এবং ভয় প্রদর্শনকারী হিসেবে প্রেরণ করেছি, জাহান্নামীদের সম্বন্ধে তোমাকে কোন প্রশ্ন করা হবে না।

সূরার নাম ঃ আল বাকারা
অবর্তীণ ঃ মদীনায়
আয়াত নম্বরঃ ১১৯