কুফরী
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
বিষয়ঃ কুফরী
(নির্বাচিত গুরুত্বপূর্ণ আয়াত-এর তরজমা ও তাফসীর)
আয়াতে কারীমাহ্
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا لَنْ تُغْنِيَ عَنْهُمْ أَمْوَالُهُمْ وَلَا أَوْلَادُهُمْ مِنَ اللَّهِ شَيْئًا وَأُولَئِكَ هُمْ وَقُودُ النَّارِ (10
[آل عمران: 10]
সরল অনুবাদ
যারা কুফুরী করে, তাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি আল্লাহর সামনে কখনও কাজে আসবে না। আর তারাই হচ্ছে দোযখের ইন্ধন।
সূরার নাম ঃ আল ইমরান
অবর্তীণ ঃ মদীনায়
আয়াত নম্বরঃ ১০
আয়াতে কারীমাহ্
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا سَوَاءٌ عَلَيْهِمْ أَأَنْذَرْتَهُمْ أَمْ لَمْ تُنْذِرْهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ (6
[البقرة: 6]
সরল অনুবাদ
নিশ্চিতই যারা কাফের হয়েছে তাদেরকে আপনি ভয় প্রদর্শন করুন আর নাই করুন তাতে কিছুই আসে যায় না, তারা ঈমান আনবে না।
সূরার নাম ঃ আল বাকারা
অবর্তীণ ঃ মদীনায়
আয়াত নম্বরঃ ০৬
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
নবী করীম (সাঃ)-এর বড়ই আশা ছিল যে, সবাই মুসলিম হয়ে যাক এবং সেই অনুপাতে তিনি প্রয়াসও চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু মহান আল্লাহ বললেন, ঈমান তাদের ভাগ্যেই নেই। এরা এমন কিছু বিশেষ লোক ছিল যাদের অন্তরে মোহর মেরে দেওয়া হয়েছিল। (যেমন আবূ জাহল এবং আবূ লাহাব প্রভৃতি।) নচেৎ তাঁর দাওয়াত ও তাবলীগের মাধ্যমে অসংখ্য মানুষ মুসলমান হয়েছিল। এমন কি পুরো আরব উপদ্বীপ ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে এসে গিয়েছিল।
আয়াতে কারীমাহ্
قُلْ لِلَّذِينَ كَفَرُوا سَتُغْلَبُونَ وَتُحْشَرُونَ إِلَى جَهَنَّمَ وَبِئْسَ الْمِهَادُ (12
[آل عمران: 12]
সরল অনুবাদ
যারা কুফরী করে তাদেরকে বলে দাও, ‘তোমরা অচিরেই পরাজিত হবে আর তোমাদেরকে জাহান্নামের দিকে হাঁকানো হবে, ওটা কতই না নিকৃষ্ট আবাসস্থান’!
সূরার নাম ঃ আল ইমরান
অবর্তীণ ঃ মদীনায়
আয়াত নম্বরঃ ১২
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
এখানে কাফের বা অবিশ্বাসী বলতে ইয়াহুদীদেরকে বুঝানো হয়েছে। আর এই ভবিষ্যদ্বাণী খুব শীঘ্রই বাস্তবায়িত হয়েছিল। যেমন, বানু ক্বাইনুক্বা’ ও বানু নাযীরকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল এবং বানু ক্বুরায়যাকে হত্যা করা হয়েছিল। অতঃপর খায়বার বিজয়ের পর সমস্ত ইয়াহুদীদের উপর জিযিয়া-কর আরোপ করা হয়েছিল।
(ফাতহুল ক্বাদীর)
আয়াতে কারীমাহ্
فَأَمَّا الَّذِينَ كَفَرُوا فَأُعَذِّبُهُمْ عَذَابًا شَدِيدًا فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ وَمَا لَهُمْ مِنْ نَاصِرِينَ (56
[آل عمران: 56]
সরল অনুবাদ
অতএব যারা কাফের হয়েছে, তাদেরকে আমি কঠিন শাস্তি দেবো দুনিয়াতে এবং আখেরাতে-তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।
সূরার নাম ঃ আল ইমরান
অবর্তীণ ঃ মদীনায়
আয়াত নম্বরঃ ৫৬
আয়াতে কারীমাহ্
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا بَعْدَ إِيمَانِهِمْ ثُمَّ ازْدَادُوا كُفْرًا لَنْ تُقْبَلَ تَوْبَتُهُمْ وَأُولَئِكَ هُمُ الضَّالُّونَ (90
[آل عمران: 90]
সরল অনুবাদ
নিশ্চয় যারা বিশ্বাস করার পর অবিশ্বাস করে[১] এবং যাদের অবিশ্বাস-প্রবৃত্তি বৃদ্ধি পেতে থাকে, তাদের তওবা কখনো মঞ্জুর করা হয় না। [২] এরাই তো পথভ্রষ্ট।
সূরার নাম ঃ আল ইমরান
অবর্তীণ ঃ মদীনায়
আয়াত নম্বরঃ ৯০
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
(সূরা শূরা ৪২:২৫ আয়াত)
(মুসনাদ আহমাদ-তিরমিযী)
অর্থাৎ, জাকান্দানীর সময়ের তওবা কবুল হয় না।
আয়াতে কারীমাহ্
وَالَّذِينَ كَفَرُوا وَكَذَّبُوا بِآيَاتِنَا أُولَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ (39
[البقرة: 39]
সরল অনুবাদ
আর যারা কুফরী করবে ও আমার নিদর্শনগুলোকে অস্বীকার করবে। তারাই জাহান্নামী; সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।
সূরার নাম ঃ আল বাকারা
অবর্তীণ ঃ মদীনায়
আয়াত নম্বরঃ ৩৯
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
(ইবনে কাসীর) অর্থাৎ,
আয়াতে কারীমাহ্
إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا وَمَاتُوا وَهُمْ كُفَّارٌ أُولَئِكَ عَلَيْهِمْ لَعْنَةُ اللَّهِ وَالْمَلَائِكَةِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ (161
[البقرة: 161]
সরল অনুবাদ
নিশ্চয় যারা কুফরী করে এবং কাফের অবস্থায়ই মৃত্যুবরণ করে, সে সমস্ত লোকের প্রতি আল্লাহর ফেরেশতাগনের এবং সমগ্র মানুষের লা’নত।
সূরার নাম ঃ আল বাকারা
অবর্তীণ ঃ মদীনায়
আয়াত নম্বরঃ১৬১
সংক্ষিপ্ত তাফসীর
কারণ, হতে পারে যে, মৃত্যুর পূর্বে সে নিষ্ঠার সাথে তাওবা করে নিয়েছে অথবা মহান আল্লাহ তার অন্যান্য নেক আমলসমূহের কারণে তার পাপগুলো ক্ষমা করে দিয়েছেন, যা আমরা জানতে পারি না। অবশ্য কোন কোন পাপ কাজের দরুন লা’নত বা অভিশাপ করার কথা (শরীয়তে) এসেছে, এ পাপে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যাপারে বলা যেতে পারে যে, অভিসম্পাত বয়ে আনে এমন কাজ তারা করছে। এ রকম কাজ থেকে যদি তারা তওবা না করে, তাহলে আল্লাহর নিকট অভিশপ্ত গণ্য হতে পারে।