fbpx
এই দিন এই সময় মহান আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করেছেন এবং বিভিন্ন ভাবে বিন্যস্ত করেছেন ।বছর ,মাস, সপ্তাহ,দিন ,রাত,ইত্যাদি তিনিই সাজিয়েছেন। আর তিনিই আপন হিকমতে ও কুদরত বলে বছরের কিছু মাস ,মাসের কিছু দিন এবং দিনের কিছু অংশকে বিশেষ বৈশিষ্ট্য মন্ডিত করেছেন।তন্মধ্যৈ মুহাররম মাস অন্যতম ।
আশুরার দিন ও আমাদের করনীয়

সূচিপত্র

আশুরার দিন ও আমাদের করনীয়

এই দিন এই সময় মহান আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করেছেন এবং বিভিন্ন ভাবে বিন্যস্ত করেছেন ।বছর, মাস, সপ্তাহ, দিন, রাত ইত্যাদি তিনিই সাজিয়েছেন। আর তিনিই আপন হিকমত ও কুদরত বলে বছরের কিছু মাস, মাসের কিছু দিন এবং দিনের কিছু অংশকে বিশেষ বৈশিষ্ট্য মন্ডিত করেছেন। তন্মধ্যৈ মুহাররম মাস অন্যতম । পবিত্র কুরআনুল কারীমে এরশাদ করেছেন

اِنَّ عِدَّۃَ الشُّہُوۡرِ عِنۡدَ اللّٰہِ اثۡنَا عَشَرَ شَہۡرًا فِیۡ کِتٰبِ اللّٰہِ یَوۡمَ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ مِنۡہَاۤ اَرۡبَعَۃٌ حُرُمٌ ؕ ذٰلِکَ الدِّیۡنُ الۡقَیِّمُ ۬ۙ فَلَا تَظۡلِمُوۡا فِیۡہِنَّ اَنۡفُسَکُمۡ وَ قَاتِلُوا الۡمُشۡرِکِیۡنَ کَآفَّۃً کَمَا یُقَاتِلُوۡنَکُمۡ کَآفَّۃً ؕ وَ اعۡلَمُوۡۤا اَنَّ اللّٰہَ مَعَ الۡمُتَّقِیۡنَ 

প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর কাছে মাসের সংখ্যা ১২টি ।যা কিতাবের(লাওহে মাহফুজ) অনুযায়ী সেই দিন থেকে চালু আছে, যেদিন আল্লাহ আকাশমণ্ডল ও পৃথিবীর সৃষ্টি করেছেন। এর মধ্যে চারটি মাস মর্যাদাপূর্ণ। এটাই দ্বীন (এর )সহজ সরল (দাবী)।
(সূরা তাওবা আয়াত ৩৬)

প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন;

عَنْ أَبِيْ بَكْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ الزَّمَانَ قَدْ اسْتَدَارَ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ خَلَقَ اللهُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ السَّنَةُ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ثَلَاثٌ مُتَوَالِيَاتٌ ذُو الْقَعْدَةِ وَذُو الْحِجَّةِ وَالْمُحَرَّمُ وَرَجَبُ مُضَرَ الَّذِيْ بَيْنَ جُمَادَى وَشَعْبَانَ.

আবূ বাকরাহ(রাঃ) থেকে বর্ণিত; নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) হতে বর্ণিত। তিনি বললেন, আল্লাহ যেদিন আসমান যমীন সৃষ্টি করেন, সেদিন যেভাবে যামানা ছিল তা আজও তেমনি আছে। বারমাসে এক বছর, তার মধ্যে চার মাস পবিত্র। যার তিন মাস ধারাবাহিক যথা যিলকাদ, যিলহাজ্জ ও মুর্হারম আর মুযার গোত্রের রাজব যা জামাদিউস্সানী ও শাবান মাসের মধ্যবর্তী।
(আ.প্র. ৪৩০১, ই.ফা. ৪৩০২, সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৪৬৬২)

ইসলাম পূর্বে মুহরম মাস ও আশুরার গুরুত্ব

মুহাহর মাসের গুরুত্ব ও বড়ত্ব অনেক আগে থেকেই মানুষের মাঝে ছিল।

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ كَانَ يَوْمُ عَاشُوْرَاءَ تَصُوْمُهُ قُرَيْشٌ فِي الْجَاهِلِيَّةِ وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَصُوْمُهُ فَلَمَّا قَدِمَ الْمَدِيْنَةَ صَامَهُ وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ فَلَمَّا نَزَلَ رَمَضَانُ كَانَ رَمَضَانُ الْفَرِيْضَةَ وَتُرِكَ عَاشُوْرَاءُ فَكَانَ مَنْ شَاءَ صَامَهُ وَمَنْ شَاءَ لَمْ يَصُمْهُ

হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন: জাহিলী যুগে কুরাইশগণ আশুরার দিন সওম পালন করত। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-ও সে সওম পালন করতেন। যখন তিনি মদিনায় হিজরাত করলেন তখনও তিনি সে সওম পালন করতেন এবং অন্যদের পালনের নির্দেশ দিতেন। এরপর যখন রমাযান (সম্পর্কিত আয়াত) অবতীর্ণ হলে রমাযানের সওম ফরয হল এবং আশুরার সওম বাদ গেল। এরপর যে চাইত সে উক্ত সওম পালন করত আর যে চাইত তা পালন করত না।
 (আ.প্র. ৪১৪৬, ই.ফা. ৪১৪৯, সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৪৫০৪)

عَنِ ابْنِ عُمَرَ، رضى الله عنهما أَنَّهُ ذُكِرَ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمُ عَاشُورَاءَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ “‏ كَانَ يَوْمًا يَصُومُهُ أَهْلُ الْجَاهِلِيَّةِ فَمَنْ أَحَبَّ مِنْكُمْ أَنْ يَصُومَهُ فَلْيَصُمْهُ وَمَنْ كَرِهَ فَلْيَدَعْهُ ‏”‏ ‏

ইবনু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত; আশূরার দিন সম্পর্কে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আলোচনা করা হলে তিনি বললেন, এ দিনে জাহিলী যুগে লোকেরা সিয়াম পালন করত। তোমাদের মধ্যে যে এ দিনে সিয়াম পালন করতে আগ্রহী, সে এ দিনে সিয়াম পালন করতে পারে। আর যে অপছন্দ করে, সে ছেড়ে দিতে পারে।
(ই.ফা. ২৫১১, ই.সে. ২৫১০, সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৫৩৪)

আশুরার দিন রাসূলুল্লাহ সা. ও সালাফের আমল

এ দিনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোযা রাখতেন। সাধারনত এ দিনের রোযা ছাড়তেন না। হাদিসে এসেছে

 عَنْ حَفْصَةَ، قَالَتْ:  أَرْبَعٌ لَمْ يَكُنْ يَدَعُهُنَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: صِيَامَ عَاشُورَاءَ، وَالْعَشْرَ، وَثَلَاثَةَ أَيَّامٍ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ، وَرَكْعَتَيْنِ قَبْلَ الْغَدَاةِ 

হাফসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, চারটি আমল নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনো পরিত্যাগ করতেন না। আশুরার দিনের সাওম (রোযা), যিলহজ্জ মাসের নয় দিনের সাওম (রোযা), প্রত্যেক মাসে তিন দিনের সাওম (রোযা) এবং ফজরের দুরাকাআত সুন্নাত।
(সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ২৪১৬)

অপর এক হাদিসে এসেছে;

عَنْ الرُّبَيِّعِ بِنْتِ مُعَوِّذٍ قَالَتْ أَرْسَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم غَدَاةَ عَاشُورَاءَ إِلَى قُرَى الأَنْصَارِ مَنْ أَصْبَحَ مُفْطِرًا فَلْيُتِمَّ بَقِيَّةَ يَوْمِهِ وَمَنْ أَصْبَحَ صَائِمًا فَليَصُمْ قَالَتْ فَكُنَّا نَصُومُهُ بَعْدُ وَنُصَوِّمُ صِبْيَانَنَا وَنَجْعَلُ لَهُمْ اللُّعْبَةَ مِنْ الْعِهْنِ فَإِذَا بَكَى أَحَدُهُمْ عَلَى الطَّعَامِ أَعْطَيْنَاهُ ذَاكَ حَتَّى يَكُونَ عِنْدَ الإِفْطَارِ

রুবায়্যি’ বিনতু মু’আব্বিয (রাঃ) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন: ‘আশুরার সকালে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আনসারদের সকল পল্লীতে এ নির্দেশ দিলেনঃ যে ব্যক্তি সওম পালন করেনি সে যেন দিনের বাকি অংশ না খেয়ে থাকে, আর যার সওম অবস্থায় সকাল হয়েছে, সে যেন সওম পূর্ণ করে। তিনি (রুবায়্যি’) (রাঃ) বলেন, পরবর্তীতে আমরা ঐ দিন সওম পালন করতাম এবং আমাদের শিশুদের সওম পালন করাতাম। আমরা তাদের জন্য পশমের খেলনা তৈরি করে দিতাম। তাদের কেউ খাবারের জন্য কাঁদলে তাকে ঐ খেলনা দিয়ে ভুলিয়ে রাখতাম। আর এভাবেই ইফতারের সময় হয়ে যেত।
(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৯৬০)

আশূরার দিনে ঐতিহাসিক কিছু ঘটনা

আশুরার দিনের অনেক ঐতিহাসিক ঘটনা রয়েছে ; এ দিনে আল্লাহ তাআলা হযরত মুসা আলাইহিস সালাম  এবং ঈমানদার কে কুদরতিভাবে সমুদ্রের মাঝ দিয়ে বারটি রাস্তা বানিয়ে নিরাপদে সমুদ্র পার করার ব্যবস্থা করে দেন। ফলে তারা নিরাপদে সমুদ্র পার হয়ে যায়। পক্ষান্তরে খোদাদ্রোহী ফেরাউন ও তার দলবল সহ সমূলে পানিতে ডুবে ধ্বংস করে দেন । মুসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও ঈমানদারদের মুক্তি ও ফেরাউন ও তার দলবলসহ ডোবানোর ঘটনা কোরআনের অসংখ্য আয়াতে উল্লেখ রয়েছে। আর এই ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছিল আশূরার দিনে। হাদিসে এসেছে ;

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَمَّا قَدِمَ الْمَدِينَةَ وَجَدَهُمْ يَصُومُونَ يَوْمًا، يَعْنِي عَاشُورَاءَ، فَقَالُوا هَذَا يَوْمٌ عَظِيمٌ، وَهْوَ يَوْمٌ نَجَّى اللَّهُ فِيهِ مُوسَى، وَأَغْرَقَ آلَ فِرْعَوْنَ، فَصَامَ مُوسَى شُكْرًا لِلَّهِ‏.‏ فَقَالَ ‏ “‏ أَنَا أَوْلَى بِمُوسَى مِنْهُمْ ‏”‏‏.‏ فَصَامَهُ وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ‏.‏

ইব্‌নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত; নবী‎ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন মদীনায় আগমন করেন, তখন তিনি মদীনাবাসীকে এমনভাবে পেলেন যে, তারা একদিন সাওম পালন করে অর্থাৎ সে দিনটি হল ‘আশুরার দিন। তারা বলল; এটি একটি মহান দিবস। এ এমন দিন যে দিনে আল্লাহ্‌ মূসা (‘আঃ) –কে নাজাত দিয়েছিলেন এবং ফির‘আউনের সম্প্রদায়কে ডুবিয়ে দিয়েছিলেন। অতঃপর মূসা (‘আঃ) শুকরিয়া হিসেবে এ দিন সাওম পালন করেছেন। তখন নবী‎ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন; তাদের তুলনায় আমি হলাম মূসা (‘আঃ)–এর অধিক নিকটবর্তী। কাজেই তিনি নিজেও এ দিন সাওম পালন করেছেন এবং এ দিন সাওম পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।
(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৩৯৭)

এছাড়া ও এ দিনে বাইতুল্লাহ এর পবিত্র গিলাফ পরিবর্তন করা হত । হাদিসে এসেছে;

عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانُوا يَصُومُونَ عَاشُورَاءَ قَبْلَ أَنْ يُفْرَضَ رَمَضَانُ وَكَانَ يَوْمًا تُسْتَرُ فِيهِ الْكَعْبَةُ فَلَمَّا فَرَضَ اللهُ رَمَضَانَ

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন : রমাযানের সওম ফর্‌য হওয়ার পূর্বে মুসলিমগণ ‘আশূরার সওম পালন করতেন। সে দিনই কা‘বা ঘর (গিলাফে) আবৃত করা হত। 
(আঃপ্রঃ ১৪৮৮, ইঃফাঃ ১৪৯৪,
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৫৯২)

আশুরার রোযার ফযিলত

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، جَمِيعًا عَنْ حَمَّادٍ، – قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، – عَنْ غَيْلاَنَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْبَدٍ الزِّمَّانِيِّ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، رَجُلٌ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ كَيْفَ تَصُومُ فَغَضِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا رَأَى عُمَرُ – رضى الله عنه – غَضَبَهُ قَالَ رَضِينَا بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا نَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ غَضَبِ اللَّهِ وَغَضَبِ رَسُولِهِ ‏.‏ ‏ ‏.‏ قَالَ كَيْفَ مَنْ يَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمًا قَالَ ‏”‏ ذَاكَ صَوْمُ دَاوُدَ عَلَيْهِ السَّلاَمُ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ كَيْفَ مَنْ يَصُومُ يَوْمًا وَيُفْطِرُ يَوْمَيْنِ قَالَ ‏”‏ وَدِدْتُ أَنِّي طُوِّقْتُ ذَلِكَ ‏”‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ ثَلاَثٌ مِنْ كُلِّ شَهْرٍ وَرَمَضَانُ إِلَى رَمَضَانَ فَهَذَا صِيَامُ الدَّهْرِ كُلِّهِ صِيَامُ يَوْمِ عَرَفَةَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ وَالسَّنَةَ الَّتِي بَعْدَهُ وَصِيَامُ يَوْمِ عَاشُورَاءَ أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ ‏”‏ ‏

আবূ ক্বাতাদাহ্ আল আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত; রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সওম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হল। এতে রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অসন্তুষ্ট হলেন। তখন ‘উমার (রাঃ) বললেন, আমরা আল্লাহ্‌র উপর (আমাদের) প্রতিপালক হিসেবে, ইসলামের উপর (আমাদের) দ্বীন হিসেবে, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর উপর (আমাদের) রসূল হিসেবে এবং আমাদের কৃত বাই’আতের উপর আমরা সন্তুষ্ট।অতঃপর একদিন সওম পালন ও দু’দিন সওম ত্যাগ করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হ’ল। তিনি বললেন, আল্লাহ যেন আমাদের এরূপ সওম পালনের সামর্থ্য দান করেন। অতঃপর একদিন সওম পালন করা ও একদিন না করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হ’ল। তিনি বললেন, তা আমার ভাই দাঊদ (আঃ)-এর সওম। অতঃপর সোমবারের সওম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, এ দিন আমি জন্মলাভ করেছি এবং এ দিনই আমি নুবূয়াতপ্রাপ্ত হয়েছি বা আমার উপর (কুরআন) নাযিল করা হয়েছে। তিনি আরও বললেন, প্রতি মাসে তিনদিন এবং গোটা রমাযান সওম পালন করাই হ’ল সারা বছর সওম পালনের সমতূল্য। অতঃপর ‘আরাফাহ্‌ দিবসের সওম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলেন তিনি বললেন, তাতে পূর্ববর্তী বছর ও পরবর্তী বছরের গুনাহের কাফ্‌ফারা হয়ে যাবে। অতঃপর ‘আশূরার সওম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, বিগত বছরের গুনাহের কাফ্‌ফারাহ্‌ হয়ে যাবে।
(ই.ফা. ২৬১৪, ই. সে. ২৬১৩, সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৬৩৭)

আশুরার ‌দিন ও তার আগের দিন বা পরের দিন ও রোযা রাখা

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْمَهْرِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، أَنَّ إِسْمَاعِيلَ بْنَ أُمَيَّةَ الْقُرَشِيَّ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ أَبَا غَطَفَانَ، يَقُولُ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ حِينَ صَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ عَاشُورَاءَ وَأَمَرَنَا بِصِيَامِهِ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهُ يَوْمٌ تُعَظِّمُهُ الْيَهُودُ وَالنَّصَارَى ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ ‏ فَإِذَا كَانَ الْعَامُ الْمُقْبِلُ صُمْنَا يَوْمَ التَّاسِعِ ‏ ‏.‏ فَلَمْ يَأْتِ الْعَامُ الْمُقْبِلُ حَتَّى تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

‘আব্দুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত; নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন নিজে আশূরার দিন সওম রাখলেন এবং আমাদেরকেও এ সওম পালনের নির্দেশ দেন, তখন লোকেরা বললো, হে আল্লাহর রাসূল! ইয়াহুদী ও খৃষ্টানরা এ দিনটিকে সম্মান করে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ আগামী বছর এলে আমরা নবম দিনও সওম পালন করবো। কিন্ত আগামী বছর না আসতেই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইনতিকাল করেন।
(সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ২৪৪৫)

একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ ও স্বতন্ত্র ধর্ম। তাই প্রতিটি ক্ষেত্রেই ইসলামের রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য।অন্যান্য ধর্ম ও মতবাদ থেকে ইসলামের বিধানগুলো সবময়ই ভিন্নতা কাম্য। ইবাদাতের ক্ষেত্রে যেমনিভাবে ইসলামের পূর্ণ অনুসরণ করতে হবে তেমনিভাবে অন্যান্য মতবাদের থেকে সতন্ত্র ও ভিন্ন থাকতে হবে । কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্যান্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে সাদৃশ্যতা অবলম্বন করতে নিষেধ করেছেন। তাই আশুরার দিন যেহেতু আশুরার দিন রোযা রাখত তাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন আল্লাহ যদি আমাকে আগামী বছর বাঁচিয়ে রাখেন তাহলে দুইদিন রোজা রাখব। সুনানে আবু দাউদের ২৪৪৫নং হাদিসে উক্ত বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে। এছাড়াও ইহুদিরা সাথে যেন আমাদের রোযা সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে না যায় এজন্য আশূরার দিন ও তার আগের বা পরের দিন রোযা রাখা যুগে যুগে উলামায়ে কেরাম উত্তম বলে আখ্যায়িত করেছেন।
(বিস্তারিত জানতে দেখুন আন নুতাফু ফিল ফতোয়া ১৪৭,আর মুহীতুল বুরহানি ২/৩৯৪,আর লুবাব ফীল জামঈ বাইনাস সুন্নাতি ওল কিতাব ১/৪০৮ মাজমাউল আনহুর ১/২৩২দুররুল হুক্কাম ১/১৯৭, বাদায়েউস সানায়ে ২/৩৪৩ তুহফাতুল মুলুক ১/৩১৩,তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/৩৩২,আল বাহরুর রায়েক ২/২৭৭ মারাকিল ফালাহ ২৩৫ আদদুররুল মুখতার ২/৩৭৪ আর রদ্দুল মুহতার ২/৩৭৬আল ফিকহুল ইসলামী ও আদিল্লাতুহু ৩/১৬৩ইত্যাদি)

আশুরার সাথে সংশ্লিষ্ট একটি বিষয়

পূর্বেই আমরা বলে এসেছি যেমনিভাবে এদিনে অসংখ্য ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটেছিল তেমনিভাবে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দৌহিত্র জান্নাতী যুবকদের সর্দার হযরত হুসাইন রাযিআল্লাহু তায়ালা আনহুর মমান্তিক শাহাদাতের ঘটনা ও এদিনেই ঘটেছিল।তাই প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই দৌহিত্রের কুরবানী যেন আল্লাহ তায়ালা কবুল করেন এবং জান্নাতের উঁচু মাকামে তাকে অথিষ্ঠিত করেন এজন্য দোয়া করা উচিত।

হযরত হুসাইন রাযিআল্লাহু আনহুর শাহাদাত নিয়ে বর্তমানে প্রচলিত ভ্রান্তি অত্যান্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় হলো যে ইসলামের ঝান্ডা উঁচু রাখতে সাহাবায়ে কেরাম (তাদের মধ্যে হযরত হুসাইন রাযিআল্লাহু তায়ালা আনহু অন্যতম)সারা জীবন সংগ্রাম করলেন এমনকি নিজের শেষ রক্তটুকু ও বিসর্জন করে দিলেন কিন্তু কখনোই বাতিলের সামনে মাথা নত করেননি ,কিন্তু আজ কিছু ভাই ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় সেসকল সাহাবায়ে কেরামের সকল কুরবানী ও আদর্শ ভুলে সাহাবায়ে কেরাম বিশেষ করে হযরত হুসাইন রাযিআল্লাহু তায়ালা আনহু র ভালোবাসার নামে ইসলাম সমর্থন করেনা এমন অসংখ্য ইসলাম পরিপন্থী কাজকে সাহাবায়ে কেরামের প্রতি ভালবাসার নিদর্শন বানিয়েছে।ফলে নিজে এবং উম্মতের এক বিরাট অংশকে ভ্রান্ত পথে নিয়ে যাচ্ছে। এবং তারা তাদের এই গর্হিত কাজে সম্পৃক্ত হন না বা তাদের এই গর্হিত কাজের অসারতা উম্মত কে বোঝানোর চেষ্টা করছেন তাদেরকে ইসলাম বিদ্বেষী বলে বা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুহব্বত করে না বলে অসংখ্য বিদ্রুপ ও খারাপ বলে আখ্যায়িত করে।এরা সাহাবায়ে কেরামের ভালোবাসার নামে আজ তাযিয়া মিছিল ও শরীরে রংলেপন বা শরীর কর্তনের মত জঘন্য তম কাজ করে কখনোই ইসলাম সমর্থন করে না। বরং এগুলো নিষেধ করে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন;

عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، وَأَبِي بُرْدَةَ، قَالَا: لَمَّا ثَقُلَ أَبُو مُوسَى أَقْبَلَتِ امْرَأَتُهُ تَصِيحُ، قَالَا: فَأَفَاقَ، فَقَالَ: أَلَمْ أُخْبِرْكِ أَنِّي بَرِيءٌ مِمَّنْ بَرِئَ مِنْهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَا: وَكَانَ يُحَدِّثُهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: أَنَا بَرِيءٌ مِمَّنْ حَلَقَ، وَخَرَقَ، وَسَلَقَ

আবূ বুরদা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:তিনি বলেন বলেন, যখন মূসা (রাঃ)-এর অসুখ বেড়ে গেল এবং তিনি বেহুঁশ হয়ে পড়লেন। তাঁর স্ত্রী সজোরে চিৎকার করতে করতে আসলেন। তাঁরা বলেন, তাঁর চেতনা ফিরে আসলে তিনি বললেন, আমি কি তোমাকে সংবাদ দেইনি যে, আমি ঐ ব্যক্তির সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করছি, যার সাথে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সম্পর্কচ্ছেদ করেছেন। তাঁরা বলেন, তিনি তাঁর স্ত্রীর সামনে বর্ণনা করলেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন যে, আমি ঐ ব্যক্তির সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করছি যে, দাড়ি বা মাথার চুল উপড়ে ফেলে, আঁচল ছিঁড়ে ফেলে এবং সজোরে চিৎকার করে।
(সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ১৮৬৩)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো অন্যান্য নবীদের মৃত্যু তারিখে বা নিজ সন্তান কিংবা অন্যান্য যেসকল সাহাবায়ে কেরাম মৃত্যু বরন করেছেন তাদের কোন মৃতবাষিকী বা তাজিয়া মিছিল করেন নী বা নিজ শরীরে আঘাত করেন নি। এমনকি রাসূলের কোন সাহাবী বা কোন তাবেয়ী বা তাবেতাবীর জীবনী তালাশ করেও এমনটি পাওয়া যায় না। তাহলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সালাফে সালেহীন যে সকল কাজ করেন নি, এমনকি তাদের সময়ে মে সকল বিষয়ের উল্লেখ পযন্ত পাওয়া যায় না সে গুলো তো দীনের কোন বিষয় হতে পারে না বরং এগুলো হলো এসকল জ্ঞানহীন ব্যক্তিদের কল্পনীক ইসলামের বিধান। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের থেকে প্রনীত ইসলাম নয় ।তাই পাঠক বন্ধু সকলের একটি বিষয় চিন্তা করা উচিত যেহেতু আমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রেরিত বিধানের সাথে এসকল লোকদের কর্মকান্ড মিল নেই তাই সেগুলো পরিহার করে নিজেকে একজন খাঁটি সচেতন মুসলমান হিসাবে প্রকাশ করা সকলের ঈমানী দায়িত্ব এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশনা অনুযায়ী এ দিনে আমল করা উচিত।

এ সকল নির্বোধ লেকেরা আজ ইসলামের নামে বা রাসূল,বা সাহাবায়ে কেরামের ভালোবাসার নামে যেসকল কাজের প্রচার প্রসার করছে তা বাস্তবে সাহাবায়ে কেরামের ভালোবাসারপ্রকাশ নয় বরং অনেক ক্ষেত্রে তা সাহাবায়ে কেরামের মর্যদা নষ্ট করে দেয়। কেননা হযরত ঈসা আলাইহি স সালাম কখনো-ই তার উম্মতকে তাকে বা তার মাকে খোদা বলতে বলেন নি। তা সত্ত্বেও তারা যেহেতু ঈসা আলাইহিস সালাম ও তার মাকে খোদা বলে স্বীকৃতি দিয়েছে তাই তাদের এই অন্যায় ও গর্হিত কাজের জন্য আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম-কে জিজ্ঞাসা করা হবে। পবিত্র কুরআনুল কারীমে ইরশাদ হয়েছে;

وَإِذْ قَالَ اللَّهُ يَاعِيسَى ابْنَ مَرْيَمَ أَأَنْتَ قُلْتَ لِلنَّاسِ اتَّخِذُونِي وَأُمِّيَ إِلَهَيْنِ مِنْ دُونِ اللَّهِ قَالَ سُبْحَانَكَ مَا يَكُونُ لِي أَنْ أَقُولَ مَا لَيْسَ لِي بِحَقٍّ إِنْ كُنْتُ قُلْتُهُ فَقَدْ عَلِمْتَهُ تَعْلَمُ مَا فِي نَفْسِي وَلَا أَعْلَمُ مَا فِي نَفْسِكَ إِنَّكَ أَنْتَ عَلَّامُ الْغُيُوبِ (116
مَا قُلْتُ لَهُمْ إِلَّا مَا أَمَرْتَنِي بِهِ أَنِ اعْبُدُوا اللَّهَ رَبِّي وَرَبَّكُمْ وَكُنْتُ عَلَيْهِمْ شَهِيدًا مَا دُمْتُ فِيهِمْ فَلَمَّا تَوَفَّيْتَنِي كُنْتَ أَنْتَ الرَّقِيبَ عَلَيْهِمْ وَأَنْتَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ شَهِيدٌ (117) المائدة: 116، 117

আর আল্লাহ যখন বলবেন, ‘হে মারইয়ামের পুত্র ঈসা, তুমি কি মানুষদেরকে বলেছিলে যে, ‘তোমরা আল্লাহ ছাড়া আমাকে ও আমার মাতাকে ইলাহরূপে গ্রহণ কর?’ সে বলবে, ‘আপনি পবিত্র মহান, যার অধিকার আমার নেই তা বলা আমার জন্য সম্ভব নয়। যদি আমি তা বলতাম তাহলে অবশ্যই আপনি তা জানতেন। আমার অন্তরে যা আছে তা আপনি জানেন, আর আপনার অন্তরে যা আছে তা আমি জানি না; নিশ্চয় আপনি গায়েবী বিষয়সমূহে সর্বজ্ঞাত’। 
(আয়াত নং-১১৬)
‘আমি তাদেরকে কেবল তাই বলেছি, যা আপনি আমাকে আদেশ করেছেন যে, তোমরা আমার রব ও তোমাদের রব আললাহর ইবাদাত কর। আর যতদিন আমি তাদের মধ্যে ছিলাম ততদিন আমি তাদের উপর সাক্ষী ছিলাম। অতঃপর যখন আপনি আমাকে উঠিয়ে নিলেন তখন আপনি ছিলেন তাদের পর্যবেক্ষণকারী। আর আপনি সব কিছুর উপর সাক্ষী।
(আয়াত নং-১১৭)
(সূরা মায়েদা আয়াত নং ১১৬ ও ১১৭)

সুপ্রিয় পাঠক ! দেখুন আল্লাহর নবী হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম যদিও তাদের সকল কর্মকান্ড থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ ছিলেন তার সত্বেও তাদের সকল ইসলাম বিরোধী কাজের কারণে তিনি আল্লাহ তাআলার কাছে জিজ্ঞাসিত হচ্ছেন তাই আমাদের সমাজে যারা আজ হযরত হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু এর ভালোবাসা প্রকাশ করার জন্য ইসলাম বিরোধী কাজ করছেন তাদের একটু চিন্তা করা দরকার এটা মূলত হযরত হুসাইন রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু ও তাঁর পরিবারবর্গের প্রতি ভালবাসার নিদর্শন এর সঠিক পন্থা নয় তাই উক্ত পন্থাকে পরিহার করে শরীয়ত সম্মতভাবে তাদের জন্য নেক আমল এবং দোয়ায় মশগুল থাকা অপরিহার্য।

তাই প্রিয় পাঠক সতর্ক হন । এবং ইসলাম পরীপন্থী হায় হুসাইন বা তাজিয়া মিছিল পরিহার করুন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে সহীহ বুঝ দান করুন‌

এখানে মন্তব্য করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

লেখক পরিচিতি

নামঃ মুহাম্মদ সালমান হুসাইন।
ইফতাঃ ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ, জামিয়া শারইয়্যাহ মালিবাগ।
উলুমুল হাদিসঃ ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ, মাদ্রাসা বাইতুল উলুম ঢালকানগর।
তাকমীলঃ ২০১৫ শিক্ষাবর্ষ, মাদ্রাসা বাইতুল উলুম ঢালকানগর।
হিফজঃ ২০০৭ শিক্ষাবর্ষ, জামিয়া আরাবিয়া হাজী ইউনুস কওমী মাদ্রাসা।
শিক্ষকঃ হাজিপাড়া কাশীপুর নারায়ণগঞ্জ

আমাদের অনুসরণ করুন

সর্বশেষ ইউটিউব ভিডিও

সাম্প্রতিক পোস্ট

সাম্প্রতিক পৃষ্ঠা